স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে নাছরিন আক্তার রুপা(১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাছরিন আক্তার রুপা শংকুচাইল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহত নাছরিন আক্তার রুপা’র বাবা আব্দুল মালেক জানান,পিতৃসম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ভাই সৈয়দ আলীর দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল।তাদের এ বিরোধের জেরে সমাধানের লক্ষ্যে গ্রাম্য সালিশ বসে। সেখানে মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অপমানমূলক কথাবার্তা তুলে চাচা সৈয়দ আলী।
বুধবার সকালে রুপার বাবা আব্দুল মালেক তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পর বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের সাথে সৈয়দ আলীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে চাচা সৈয়দ আলীসহ স্ত্রী, মেয়ে রুপাকে বেশ্যা বলে গালি দেয় এবং অপমানমূলক কথাবার্তা বলে। এ মানসিক আঘাত সইতে না পেরে ওই দিন বিকেল ৩টার সময় পরিবারের অজান্তে আব্দুল মালেকের পূর্ব ভিটার ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে তীরের সাথে সাদা উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মা-ভাই ও স্থানীয়রা দরজা ভেঙে রুপাকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার এসআই আব্দুল জব্বার কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রুপার চাচা ও তার পরিবারকে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানান।
বাড়িতে এসে মেয়ের লাশ দেখে বাবা আব্দুল মালেক অসুস্থ হয়ে বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় সরেজমিনে গিয়ে সৈয়দ আলীর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম মাস্টার ও গ্রামের জলিল সর্দার প্রতিনিধিকে জানান, আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান কলেজ ছাত্রী নাছরিন আক্তার রুপার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,থানাতে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে আত্মহত্যা কি কারণে করেছে তা সঠিক কারণ জানা যায়নি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page